কেন ভারতে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা, প্রশ্ন তুললেন ঝাড়খণ্ডের মুখমন্ত্রী
ভারতের নির্বাচনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এখন হরহামেশা । এক ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় এসে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে এসে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ফের মন্তব্য করেন তিনি।
আর গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে ‘মিনি বাংলাদেশে’ পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ডের বিজেপির নির্বাচনি সহ-ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বারবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ আসায় এবার শাসকদল বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার ভাষ্য, মুখে বাংলাদেশ নিয়ে আক্রমণ করলেও ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি।
গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় এক নির্বাচনি সমাবেশে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সভাপতি বলেন, বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত নীতি’ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন কেন্দ্র প্রতিবেশী দেশে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেছেন, কোন যুক্তিতে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া হল ভারতে?
হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথ নেওয়ার সময় সংবিধান মেনে কাজ করার কথা বলেছিলেন। সমাজের সব স্তরকে সমান অধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার সঙ্গে বাংলাদেশের ভিতরে ভিতরে কী যোগ আছে? শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হল কেন? আপনি কি তাকে আশ্রয় দিয়েছেন’?
দুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনি গিয়ে রাঁচির একটি সভা থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডের সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় ‘ক্রমশ লুপ্ত’ হয়ে যাচ্ছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
এর উত্তরে রোববার অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালােচনা করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার আরও প্রশ্ন, ‘ঝাড়খণ্ডে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ কেন সরবরাহ করা হচ্ছে বাংলাদেশকে?’
অমিত শাহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ আটকানো কেন্দ্রের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই’