১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছর ধরে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত 

Spread the love



একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক নির্মাণ ও রচনাতেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। নতুন খবর হলো, এই অভিনেতা নিজের আত্মজীবনী লেখার কাজ শেষ করেছেন। বর্তমানে চলছে প্রচ্ছদ অলংকরণ। সেটির দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতার মেয়ে সুঅভিনেত্রী ও চিত্রকর বিপাশা হায়াত।


আবুল হায়াতের আত্মজীবনীর নাম ‘রবি পথ’। এটি তিনি ১০ বছর ধরে লিখেছেন।

এ প্রসঙ্গে আবুল হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আসলে খুবই অলস প্রকৃতির লোক। লিখি, ফেলে রাখি। দেখা গেল, কোনো দিন এক চ্যাপ্টার লিখেছি, কোনো দিন এক পৃষ্ঠা, দুই লাইন, তারপর বহুদিন পড়ে ছিল। এরপর আমার মেয়ে বিপাশা বলল, “বাবা তুমি লেখো না কেন?” আমি বিপাশাকে বললাম, লিখে কী হবে? আমার লেখা তো কোনো ক্ল্যাসিক কিছু হবে না। সে বলে, “ওই সব বোলো না। তোমার লেখা তোমার কাছে শ্রেষ্ঠ লেখা। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো তো কেউ লিখতে পারবেও না। তাই তুমিই লিখবে। মনের তাগিদ থেকে লিখবে। যার ভালো লাগবে না, সে পড়বে না। যার ভালো লাগবে, পড়বে, পাশে রেখে দেবে।” এরপর আমি উৎসাহ বোধ করলাম যে ঠিক আছে, আচ্ছা। অনেকে উৎসাহিত হতেও পারে। সে হিসেবে বলা যায়, অনুপ্রেরণা আমার বড় মেয়ে। তৌকীরও উৎসাহ দিয়েছে। সে বলত, “আপনি লেখেন। যা মনে আসে, লেখেন।” কিছুদিন পরপর জিজ্ঞেস করত, “কত দূর হলো লেখা?” এ বছর তো আমাকে বলেছিল, “আপনার জন্মদিনে যেন অবশ্যই আত্মজীবনী পাই।” আমি ভাবলাম, এবার যদি লেখা শেষ করতে না পারি, তাহলে আর হবে না।

আত্মজীবনী ‘রবি পথ’ প্রকাশিত হবে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা প্রকাশিত হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৭:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
২৬ টাইম ভিউ

১০ বছর ধরে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত 

আপডেটের সময় : ০৭:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love



একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক নির্মাণ ও রচনাতেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। নতুন খবর হলো, এই অভিনেতা নিজের আত্মজীবনী লেখার কাজ শেষ করেছেন। বর্তমানে চলছে প্রচ্ছদ অলংকরণ। সেটির দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতার মেয়ে সুঅভিনেত্রী ও চিত্রকর বিপাশা হায়াত।


আবুল হায়াতের আত্মজীবনীর নাম ‘রবি পথ’। এটি তিনি ১০ বছর ধরে লিখেছেন।

এ প্রসঙ্গে আবুল হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আসলে খুবই অলস প্রকৃতির লোক। লিখি, ফেলে রাখি। দেখা গেল, কোনো দিন এক চ্যাপ্টার লিখেছি, কোনো দিন এক পৃষ্ঠা, দুই লাইন, তারপর বহুদিন পড়ে ছিল। এরপর আমার মেয়ে বিপাশা বলল, “বাবা তুমি লেখো না কেন?” আমি বিপাশাকে বললাম, লিখে কী হবে? আমার লেখা তো কোনো ক্ল্যাসিক কিছু হবে না। সে বলে, “ওই সব বোলো না। তোমার লেখা তোমার কাছে শ্রেষ্ঠ লেখা। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো তো কেউ লিখতে পারবেও না। তাই তুমিই লিখবে। মনের তাগিদ থেকে লিখবে। যার ভালো লাগবে না, সে পড়বে না। যার ভালো লাগবে, পড়বে, পাশে রেখে দেবে।” এরপর আমি উৎসাহ বোধ করলাম যে ঠিক আছে, আচ্ছা। অনেকে উৎসাহিত হতেও পারে। সে হিসেবে বলা যায়, অনুপ্রেরণা আমার বড় মেয়ে। তৌকীরও উৎসাহ দিয়েছে। সে বলত, “আপনি লেখেন। যা মনে আসে, লেখেন।” কিছুদিন পরপর জিজ্ঞেস করত, “কত দূর হলো লেখা?” এ বছর তো আমাকে বলেছিল, “আপনার জন্মদিনে যেন অবশ্যই আত্মজীবনী পাই।” আমি ভাবলাম, এবার যদি লেখা শেষ করতে না পারি, তাহলে আর হবে না।

আত্মজীবনী ‘রবি পথ’ প্রকাশিত হবে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা প্রকাশিত হবে।