অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা
বাগেরহাটে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাগেরহাটে ঘরে ঢুকে সাবেক এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। গত সোমবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি (৬৫)। তিনি মধুদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আহত দুজন হলেন মৃণালের স্ত্রী শেফালি চ্যাটার্জি (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জি (৩৫)। তাঁদের বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালি চ্যাটার্জি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার দিকে একদল লোক এসে বাড়িতে ঢিলা মারছে। তখনো বুঝিনি, রাত্রিরি আইসে এভাবে ভাইঙে মাইরা ফ্যালবো। ঘর–দরজা সব ভাঙছে, সব নিয়ে গেছে। কিচ্ছুই নেই।’
মাথাসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন মৃণালের মেয়ে ঝুমা। তাঁর দাবি, প্রতিবেশী হুমায়ুন শেখ ও নুরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় নুরুল ইসলাম বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই মুখোশ পরে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ঘরের সবকিছু নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।এসব বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঝুমা। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘ঘরে আমার ছোট ছেলে ও বোন ছিল। তাদের ঘরের পাটাতনের ওপর আর খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে বাঁচাইছি। আমাগো কী দোষ? আমরা তো কোনো দল করি না। শুধু শুধু আমাগো ওপর কেন হামলা করল; আমার বৃদ্ধ বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটায় মেরে ফেলল?’
এ ঘটনার পরপর ঘটনায় অভিযুক্ত হুমায়ুন শেখ ও নুরুল ইসলাম শেখ পলাতক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।