বিএনপির শামা ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই দুই নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কবির ভূঁইয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পথসভা আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে নিহত কবির ভূঁইয়া উপজেলার ছাগলদি গ্রামের আবুল বসার ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে। আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত। এই উপজেলাতেই জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ’র বাড়ি। দুজনই ওই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
আজ ঢাকা থেকে শহিদুল ইসলাম বাবুল এলাকায় আসার কথা ছিল। আয়োজন ছিল শোডাউন ও পথসভার করার। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই দুই পক্ষের মহড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলছিল উত্তেজনা।
এরই জেরে সকালে উপজেলা সদর এলাকার ছাগলদির মোড়ে অবস্থান নেন বাবুল গ্রুপের সমর্থকেরা, অপরদিকে রিংকু গ্রুপের সমর্থকেরাও অবস্থান নেন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।