দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়া
প্রতিশোধ নয় চাই একতা ,সবাই মিলে দেশ গড়তে হবে
গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রতিশোধের মানসিকতা না রেখে সবাই মিলে দেশ গড়তে হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে খালেদা জিয়ার বরাতে একটি জাতীয় দৈনিককে একথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তকাল মঙ্গলবার নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব জানান, এই পরিবর্তিত সময় ও সরকার পরিবর্তনের ঘটনাপ্রবাহ পুরোপুরি পর্যবেক্ষণ করেছেন বেগম জিয়া। পুরো বিষয় তিনি জানেন।
সংবাদমাধ্যমটিকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে, এ জন্য বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীর ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে শান্ত থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার এত দিন ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন করলেও প্রতিশোধের মানসিকতা রাখা যাবে না। সবাই মিলে এই দেশ গড়ে তুলতে হবে।’’
এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের বিশেষ করে যুবদল-ছাত্রদলকে দেশের প্রতিটি এলাকায় মন্দির-উপাসনালয় দেখে রাখার জন্য বেগম জিয়া নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে-এটাই দলের সিদ্ধান্ত।
বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন আশা করছেন, শিগগিরই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ফিরবেন, জনগণের প্রত্যাশার সরকার আসবে এবং সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা ফিরে আসবে।
নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বহুদিন পর মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম। তিনি মানসিকভাবে ভালো আছেন, শারীরিকভাবে তাকে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
এদিকে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সরকার এতদিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলা করছিল। তবে এখন তিনি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি আছে। তবে দেশের যে চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন, তারা এখনো ফ্লাই করার অনুমতি দেননি। তারা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। চিকিৎসকরা অনুমতি দিলেই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।