১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে দ্রুত আহ্বান নির্বাচনের মঈন খানের

Spread the love

অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার অত্যাবশকীয় সেগুলো শেষ করে দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। এটি শুধু আমার কথা নয়, একজন রিকশাচালক, দিনমজুর, গৃহশ্রমিক, নারী শ্রমিককে জিজ্ঞেস করুন। তারাও একই কথা বলবেন।

তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে জিজ্ঞেস করুন, যারা বিপ্লব এনেছে, তারা কি ভোটার হয়ে একবারও ভোট দিতে পেরেছে? পারেনি। তাই ভোটের অধিকার ১২ কোটি ভোটারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সে অনুযায়ী জনগণের কল্যাণে ৩১ দফা সংস্কার আমরা করব। আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের অনেককে আন্দোলন সংগ্রামে দেখিনি। আজ আমরা দেখছি, বিখ্যাত লোকেরা বড় বড় টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ, এসবি, ডিবির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে এক লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, ৬০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছিল, রাতের অন্ধকারে ধানখেত দিয়ে পালাতে হতো, তাদের কথা ভাবুন। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপ্লবের মূল সত্য। এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সত্যিকারের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে। সেই সংসদ একটি সরকার গঠন করবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ১২:৫০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
৫ টাইম ভিউ

অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে দ্রুত আহ্বান নির্বাচনের মঈন খানের

আপডেটের সময় : ১২:৫০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
Spread the love

অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক কর্মশালায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার অত্যাবশকীয় সেগুলো শেষ করে দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। এটি শুধু আমার কথা নয়, একজন রিকশাচালক, দিনমজুর, গৃহশ্রমিক, নারী শ্রমিককে জিজ্ঞেস করুন। তারাও একই কথা বলবেন।

তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে জিজ্ঞেস করুন, যারা বিপ্লব এনেছে, তারা কি ভোটার হয়ে একবারও ভোট দিতে পেরেছে? পারেনি। তাই ভোটের অধিকার ১২ কোটি ভোটারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সে অনুযায়ী জনগণের কল্যাণে ৩১ দফা সংস্কার আমরা করব। আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের অনেককে আন্দোলন সংগ্রামে দেখিনি। আজ আমরা দেখছি, বিখ্যাত লোকেরা বড় বড় টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ, এসবি, ডিবির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে এক লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, ৬০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছিল, রাতের অন্ধকারে ধানখেত দিয়ে পালাতে হতো, তাদের কথা ভাবুন। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বিপ্লবের মূল সত্য। এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সত্যিকারের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে। সেই সংসদ একটি সরকার গঠন করবে।