১২:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতা পান্না কীভাবে খুন হয়েছিল, জানাল ভারতের পুলিশ

Spread the love

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ পাওয়া গেছে ভারতের মেঘালয়ে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মেঘালয় পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে পান্নার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়, পান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কাছে থাকা পাসপোর্ট দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ আগস্ট পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে আধা পচা একটি মরদেহ পাওয়া যায়। এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়াও তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কপালে ঘর্ষণ এবং ক্ষতের চিহ্ন ছিল। মরদেহটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
এরপর অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারাও দেশ ছাড়েন। সেই সঙ্গে অনেকে আবার পলাতক রয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১ হাজারের বেশি লোক মারা যায়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলাও হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৫:২৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
২৩ টাইম ভিউ

আ.লীগ নেতা পান্না কীভাবে খুন হয়েছিল, জানাল ভারতের পুলিশ

আপডেটের সময় : ০৫:২৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ পাওয়া গেছে ভারতের মেঘালয়ে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মেঘালয় পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে পান্নার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়, পান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কাছে থাকা পাসপোর্ট দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ আগস্ট পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে আধা পচা একটি মরদেহ পাওয়া যায়। এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়াও তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কপালে ঘর্ষণ এবং ক্ষতের চিহ্ন ছিল। মরদেহটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
এরপর অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারাও দেশ ছাড়েন। সেই সঙ্গে অনেকে আবার পলাতক রয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১ হাজারের বেশি লোক মারা যায়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলাও হচ্ছে।