০৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যু’র চেষ্টা করলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

Spread the love

রেস্ট টাইম প্রথা বাতিল ও চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাওয়ের এ ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আগামীদিনে কোনো ধরনের ক্যু বা অভ্যুত্থান রচনার চেষ্টা করা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই হুঁশিয়ারি দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যু’র উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন, তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে দাবি আদায়ে জড়ো হওয়া আনসার সদস্যদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয় এলাকায় উপস্থিত হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রথমদিকে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তারও আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে তাদের আটক রাখা হয়েছে বার্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে আসার আহ্বান জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৬:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
১৯ টাইম ভিউ

ক্যু’র চেষ্টা করলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে: আসিফ মাহমুদ

আপডেটের সময় : ০৬:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

রেস্ট টাইম প্রথা বাতিল ও চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাওয়ের এ ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আগামীদিনে কোনো ধরনের ক্যু বা অভ্যুত্থান রচনার চেষ্টা করা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই হুঁশিয়ারি দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যু’র উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন, তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে দাবি আদায়ে জড়ো হওয়া আনসার সদস্যদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয় এলাকায় উপস্থিত হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রথমদিকে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

তারও আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে তাদের আটক রাখা হয়েছে বার্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে আসার আহ্বান জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।