ড. কামাল বলেন ভোট কিনে ক্ষমতায় এসে পালাতে বাধ্য হয়েছে
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনে নির্বাচন করে যারা ক্ষমতা এসেছিলেন, জনগণ তাঁদের টিকতে দেয়নি। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতি থেকে সবার শিক্ষা নিতে হবে।
গণফোরামের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ পাচার, লুটপাট যাঁরা করেছেন, জনগণ তাঁদের ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। সততাই গণফোরাম ও আমাকে টিকিয়ে রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় গেলে পালাতে হয়। আমরা পালাতে চাই না। জনগণের জন্য রাজনীতি করি এবং এই মাটিতেই মরতে চাই।’
সভায় লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। জনরোষে সরকারপ্রধান দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন। ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বন্দিদশা থেকে জনগণ নতুন করে মুক্তিলাভ করে।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি আরও বলেন, বিগত সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাদের যথাযথ সময় দেওয়া ও সার্বিক সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব।
সভায় গণফোরামের দুই অংশ মোস্তফা মহসিন মন্টুর পক্ষ ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পক্ষ এক হওয়ার ঘোষণা দেন। উভয় অংশের যৌথ ঘোষণা পাঠ করেন গণফোরামের (মন্টু) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
মোস্তফা মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।