তরুণ-যুবকদের রাস্তা সংস্কারের ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যা জানা গেল
জনপ্রতিনিধিদের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের রাস্তা নিজেরাই সংস্কার করছেন তরুণ-যুবকরা। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামে স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করেছেন একদল তরুণ-যুবক ও স্থানীয় গ্রামবাসী। উপজেলার পরশুরাম ও মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম সাহেবনগর সড়ক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে রাস্তা সংস্কারের জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে পশ্চিম সাহেবনগর, পূর্ব সাহেবনগর, মনিপুরসহ একাধিক এলাকার ছাত্র, যুবক ও গ্রামবাসী বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে নেমে পড়েন।
পশ্চিম সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় পিচঢালা রাস্তা ভেঙে নাজেহাল হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তা মেরামত করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে মির্জানগর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরে যান চলাচল শুরু হয়।’
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বন্যার পানি শুকিয়ে গেলেও এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা সম্ভব ছিল না। এজন্য উদ্যোগ নিয়ে এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার মেরামত করা হয়েছে। ’
এদিকে একইসঙ্গে বন্যায় ভেঙে পড়া উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের জয়চাঁদপুর-সত্যনগর সড়কের প্রায় ৩০ ফুট রাস্তায় স্বেচ্ছাশ্রমে একটি সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করে আসছি। বন্যায় জয়চাঁদপুর-সত্যনগর পাকা সড়কের প্রায় ৩০ ফুট ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে আমাদের উদ্যোগে আপাতত চলাচলের জন্য সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে সেখানে একটি সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে পরশুরাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শাহআলম ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা রাস্তা মেরামত করে দিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’