০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের

বড় নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তীর

Spread the love

বন্যাকবলিত চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বড় নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই সংস্থা সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে।

দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এবং দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলা বন্যায় আক্রান্ত। এসব অঞ্চলের বড় নদীগুলোর পানি গতকাল বিপৎসীমার অনেকটা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে রেকর্ড ভেঙে গেছে অতীতের।

আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি ধীরগতিতে কমছে। বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় এই অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন ১১টি। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, শেরপুর-সিলেট অঞ্চলে ১০, মারকুলী এলাকায় ৭, মনু নদের মনু রেলওয়ে ব্রিজে ২৯, খোয়াই নদের বাল্লা এলাকায় ১৯৯, হবিগঞ্জে ১৬৫, গোমতী নদী কুমিল্লায় ১১৯, দেবীদ্বারে ৫৩, হালদা নদী নারায়ণহাটে ১১০ ও পাঁচপুকুরিয়া এলাকায় বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০১:০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
২৫ টাইম ভিউ

চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের

বড় নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে

আপডেটের সময় : ০১:০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

বন্যাকবলিত চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বড় নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই সংস্থা সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে।

দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এবং দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলা বন্যায় আক্রান্ত। এসব অঞ্চলের বড় নদীগুলোর পানি গতকাল বিপৎসীমার অনেকটা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে রেকর্ড ভেঙে গেছে অতীতের।

আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি ধীরগতিতে কমছে। বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় এই অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন ১১টি। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, শেরপুর-সিলেট অঞ্চলে ১০, মারকুলী এলাকায় ৭, মনু নদের মনু রেলওয়ে ব্রিজে ২৯, খোয়াই নদের বাল্লা এলাকায় ১৯৯, হবিগঞ্জে ১৬৫, গোমতী নদী কুমিল্লায় ১১৯, দেবীদ্বারে ৫৩, হালদা নদী নারায়ণহাটে ১১০ ও পাঁচপুকুরিয়া এলাকায় বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।