১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার্তদের সহযোগিতার কথা বলে তোপের মুখে চঞ্চল

Spread the love

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি জেলা এখন বন্যায় বিপর্যস্ত। বসতভিটা ভেসে যাওয়াসহ মূল্যবান সব হারিয়ে এখন অসহায় এসব অঞ্চলের মানুষ। জীবন রক্ষায় প্রাণপন ছুটে চলছেন তারা।

মাথার ওপর একমাত্র আকাশ ছাড়া কিছুই নেই তাদের। কিন্তু সেই আকাশ থেকেই আবার কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টি পড়ছে। বাড়ির কোমলমতি শিশুসন্তান এবং গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে এ অবস্থায় বাকরুদ্ধ তারা। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আর্তনাদ তাদের।

এদিকে বন্যার এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যসব অঞ্চলের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ আবার এগিয়ে আসছেন। সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে রয়েছেন শোবিজ ও সংগীত তারকা। এদেরই একজন ছোট ও বড়পর্দার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (বাইশ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারো টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ অভিনেতা লিখেছেন, ‘আসুন, আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াই।’ এরপর কিছু আশ্রয়কেন্দ্রের ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখের পর লিখেছেন, ‘সবাই সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলাবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইন ও মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনা খাবার দিয়ে সাহায্য করুন।’

বানভাসিদের নিয়ে অন্য তারকাদের উদ্যোগ প্রশংসায় ভাসালেও চঞ্চলের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। রীতিমতো এক হাত নিয়েছেন বেশির ভাগ মন্তব্যকারী। কটাক্ষ ও আক্রমণাত্মক মন্তব্যে জর্জরিত করেছেন অভিনেতাকে।

একজন লিখেছেন, ‘মীরজাফরদের খাতায় নাম থাকবে সারাজীবন।’

অন্য এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘এই তো সুযোগ মানুষের সহানুভূতি অর্জনের। কাজে লাগা ভাই কাজে লাগা।’ অন্য একজনের কথায়, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় কি পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোস্ট দিতে ভুলে গিয়েছিলেন?’

পাশাপাশি ‘দালাল’ ও ‘সুবিধাবাদী’ বলেও অনেকে সম্বোধন করেছেন অভিনেতাকে। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই বলেও সাবধান করেছেন অভিনেতাকে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। ফলস্বরুপ দেশের অধিকাংশের কাছে খলনায়কে পরিণত হন তিনি। সেসময় চঞ্চল জানান মায়ের অসুস্থতার কারণে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। যদিও তার এ ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি নেটিজেনদের। অন্যদিকে চঞ্চলও নীরব হয়ে যান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৬:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
২৭ টাইম ভিউ

বন্যার্তদের সহযোগিতার কথা বলে তোপের মুখে চঞ্চল

আপডেটের সময় : ০৬:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি জেলা এখন বন্যায় বিপর্যস্ত। বসতভিটা ভেসে যাওয়াসহ মূল্যবান সব হারিয়ে এখন অসহায় এসব অঞ্চলের মানুষ। জীবন রক্ষায় প্রাণপন ছুটে চলছেন তারা।

মাথার ওপর একমাত্র আকাশ ছাড়া কিছুই নেই তাদের। কিন্তু সেই আকাশ থেকেই আবার কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টি পড়ছে। বাড়ির কোমলমতি শিশুসন্তান এবং গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে এ অবস্থায় বাকরুদ্ধ তারা। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আর্তনাদ তাদের।

এদিকে বন্যার এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যসব অঞ্চলের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ আবার এগিয়ে আসছেন। সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে রয়েছেন শোবিজ ও সংগীত তারকা। এদেরই একজন ছোট ও বড়পর্দার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (বাইশ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারো টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ অভিনেতা লিখেছেন, ‘আসুন, আমরা সবাই বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াই।’ এরপর কিছু আশ্রয়কেন্দ্রের ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখের পর লিখেছেন, ‘সবাই সাবধান থাকুন, আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলাবদ্ধতা বেশি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হোন। বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইন ও মোম মজুত রাখুন। পারলে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ও প্রতিবেশীদের শুকনা খাবার দিয়ে সাহায্য করুন।’

বানভাসিদের নিয়ে অন্য তারকাদের উদ্যোগ প্রশংসায় ভাসালেও চঞ্চলের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। রীতিমতো এক হাত নিয়েছেন বেশির ভাগ মন্তব্যকারী। কটাক্ষ ও আক্রমণাত্মক মন্তব্যে জর্জরিত করেছেন অভিনেতাকে।

একজন লিখেছেন, ‘মীরজাফরদের খাতায় নাম থাকবে সারাজীবন।’

অন্য এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘এই তো সুযোগ মানুষের সহানুভূতি অর্জনের। কাজে লাগা ভাই কাজে লাগা।’ অন্য একজনের কথায়, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় কি পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোস্ট দিতে ভুলে গিয়েছিলেন?’

পাশাপাশি ‘দালাল’ ও ‘সুবিধাবাদী’ বলেও অনেকে সম্বোধন করেছেন অভিনেতাকে। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই বলেও সাবধান করেছেন অভিনেতাকে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। ফলস্বরুপ দেশের অধিকাংশের কাছে খলনায়কে পরিণত হন তিনি। সেসময় চঞ্চল জানান মায়ের অসুস্থতার কারণে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। যদিও তার এ ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি নেটিজেনদের। অন্যদিকে চঞ্চলও নীরব হয়ে যান।