০৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরে মাহিকে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, যা বললেন অভিনেত্রী

Spread the love

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আত্মগোপনেও চলে যান। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেজন্য বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মুখে পড়লেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সেই ধারাবহিকতায় এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিমানবন্দরে।
জানা যায়, সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এসময় খোঁজ করা হয় নথিপত্রে।
সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মাহি নিজেই। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
মাহি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’
পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মন্দ কিছু নয়।
মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলটির থেকে মনোনয়ন না পেয়ে গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেননি। হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০১:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
১৮ টাইম ভিউ

বিমানবন্দরে মাহিকে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, যা বললেন অভিনেত্রী

আপডেটের সময় : ০১:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আত্মগোপনেও চলে যান। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেজন্য বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মুখে পড়লেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সেই ধারাবহিকতায় এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিমানবন্দরে।
জানা যায়, সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এসময় খোঁজ করা হয় নথিপত্রে।
সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মাহি নিজেই। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
মাহি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’
পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মন্দ কিছু নয়।
মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলটির থেকে মনোনয়ন না পেয়ে গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেননি। হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষেই।