০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয় কাটিয়ে

ভয় কাটিয়ে আস্তে আস্তে খুলছে রাজধানীর থানা

Spread the love

মাত্র একদিন আগেও রাজধানীর মূল ফটকগুলোতে ছিল তালা। বন্ধ ছিল সব সেবা কার্যক্রম। তবে একদিনের ব্যবধানে সেনা সদস্যদের পাহারায় পুলিশ সদস্যরা ফিরতে শুরু করেছেন থানায়। প্রায় ২৯টি থানায় সীমিত পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে। বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে খুলতে শুরু করে থানাগুলো। থানায় এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। তারা জানান, ভীতিকর অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সবাই। সহকর্মী হারানোর বেদনা নিয়ে কাজ শুরু করে জনগণের আবারো আস্থা অর্জন করতে চান তারা।  সকালে তেজগাঁও থানার সামনে সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ২৫ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে সেনাবাহিনী। থানায় কোনো প্রকার হামলা হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তারা। 

তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা এখনও সুস্থ রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এলাকার ব্যবসায়ী, ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরাও কথা বলেছি। সবার সহযোগিতায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৪০ জন সদস্য এসেছেন। আরও সদস্য আসবেন। সকাল ৮টা থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়া শুরু করেছি। যত ধরনের পুলিশিং কার্যক্রম রয়েছে সব চলবে।সেবার জন্য এলাকাবাসীকে থানায় আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিসি।

তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও বিভাগের তিনটি থানার কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। তবে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শিল্পাঞ্চল থানার কার্যক্রম চালু করতে আরও সময় লাগবে।’

এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিসি আজিমুল হক বলেন, ‘এ থানা আপনার। পুলিশও আপনার। আপনার প্রয়োজনেই পুলিশ দরকার হয়। পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ আপনার রয়েছে সেটা কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হয়েছে। এ জন্য সমগ্র পুলিশ বাহিনী দোষী না। বিগত সময়ে যা হয়েছে, সব দোষত্রুটি আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন বলেন, ‘বিগত দিনে একসঙ্গে কাজ করেছি অনেক সদস্য এখন আর নেই। আমাদের হৃদয় এখন ভারাক্রান্ত। সত্যিকার অর্থে আমাদের পুলিশ পরিবার ট্রমাটাইজ। আমরা জনগণের প্রয়োজনে কাজ করি। আমাদের ব্যর্থতা অনেক সময় আমরা জনগণকে বুঝাতে পারি না।  আজও ফিরে আসা কিন্তু জনগণের জন্য।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চেইন অব কমান্ডে কাজ করতে হয়। আগেও অর্ডারে কাজ করেছি, এখনও তাই। তবে অনেক সহকর্মী ভেঙে পড়েছে। আমাদের ব্যর্থতা ওভারকাম করে সত্যিকারে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে পারে, সেই চেষ্টা করবো।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৩:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
৪৬ টাইম ভিউ

ভয় কাটিয়ে

ভয় কাটিয়ে আস্তে আস্তে খুলছে রাজধানীর থানা

আপডেটের সময় : ০৩:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

মাত্র একদিন আগেও রাজধানীর মূল ফটকগুলোতে ছিল তালা। বন্ধ ছিল সব সেবা কার্যক্রম। তবে একদিনের ব্যবধানে সেনা সদস্যদের পাহারায় পুলিশ সদস্যরা ফিরতে শুরু করেছেন থানায়। প্রায় ২৯টি থানায় সীমিত পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে। বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে খুলতে শুরু করে থানাগুলো। থানায় এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। তারা জানান, ভীতিকর অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সবাই। সহকর্মী হারানোর বেদনা নিয়ে কাজ শুরু করে জনগণের আবারো আস্থা অর্জন করতে চান তারা।  সকালে তেজগাঁও থানার সামনে সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ২৫ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে সেনাবাহিনী। থানায় কোনো প্রকার হামলা হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তারা। 

তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা এখনও সুস্থ রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এলাকার ব্যবসায়ী, ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরাও কথা বলেছি। সবার সহযোগিতায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৪০ জন সদস্য এসেছেন। আরও সদস্য আসবেন। সকাল ৮টা থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়া শুরু করেছি। যত ধরনের পুলিশিং কার্যক্রম রয়েছে সব চলবে।সেবার জন্য এলাকাবাসীকে থানায় আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিসি।

তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও বিভাগের তিনটি থানার কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। তবে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শিল্পাঞ্চল থানার কার্যক্রম চালু করতে আরও সময় লাগবে।’

এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিসি আজিমুল হক বলেন, ‘এ থানা আপনার। পুলিশও আপনার। আপনার প্রয়োজনেই পুলিশ দরকার হয়। পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ আপনার রয়েছে সেটা কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হয়েছে। এ জন্য সমগ্র পুলিশ বাহিনী দোষী না। বিগত সময়ে যা হয়েছে, সব দোষত্রুটি আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন বলেন, ‘বিগত দিনে একসঙ্গে কাজ করেছি অনেক সদস্য এখন আর নেই। আমাদের হৃদয় এখন ভারাক্রান্ত। সত্যিকার অর্থে আমাদের পুলিশ পরিবার ট্রমাটাইজ। আমরা জনগণের প্রয়োজনে কাজ করি। আমাদের ব্যর্থতা অনেক সময় আমরা জনগণকে বুঝাতে পারি না।  আজও ফিরে আসা কিন্তু জনগণের জন্য।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চেইন অব কমান্ডে কাজ করতে হয়। আগেও অর্ডারে কাজ করেছি, এখনও তাই। তবে অনেক সহকর্মী ভেঙে পড়েছে। আমাদের ব্যর্থতা ওভারকাম করে সত্যিকারে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে পারে, সেই চেষ্টা করবো।’