০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভাবছে বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটেছে, সেটা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারি’

Spread the love

আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে যখন তদন্ত শুরু করল সিবিআই। তখন বিরোধীদের নিশানা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বললেন, ‘ভাবছে বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেটা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারি। আমি বলি, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। আমি বলি-যতদিন বাঁচব, মানুষের সেবা করে যাব। মানুষকে ন্যায়বিচার দিয়ে যাব। যার জন্য আমি ফাঁসির দাবি করেছিলাম, পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম’। 
আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন নিরপেক্ষ তদন্তের। রোববারের মধ্যে তদন্তে অগ্রগতি না হলে, সিবিআই’র হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তবে তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবারই সিবিআই’র হাতে আরজিকর কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘বলুন, কোন অ্যাকশনটা আমরা নিইনি? ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ১৬৪ জনকে কাজে লাগিয়েছিল। একমাসের সিসি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দেওয়া হল। রোববারের মধ্যে মামলার কিনারা হোক। আমরা ফাঁসি চাই।’

কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী শিবিরে? বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘রাজ্যে যদি একটা ঘটনা ঘটত, তাহলে দুর্ঘটনাবশত ঘটে গিয়েছে এটা বোঝা যেত। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী, তার রাজ্যতে সবচেয়ে বেশি নারী অপমানের শিকার হচ্ছেন। এত নারীর অপমান হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রে উনি বলে দিচ্ছেন, ওই নারীর  চরিত্র খারাপ ছিল। ওই মহিলার দোষ ছিল। একটা কেস কেউ বলতে পারবে, যেখানে উনি নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন । প্রত্যেকবার ধর্ষণকারী কিংবা খুনি তার পাশে উনি দাঁড়িয়েছেন। এটাই দুর্ভাগ্য।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০২:২৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
২৯ টাইম ভিউ

‘ভাবছে বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটেছে, সেটা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারি’

আপডেটের সময় : ০২:২৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে যখন তদন্ত শুরু করল সিবিআই। তখন বিরোধীদের নিশানা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানলেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বললেন, ‘ভাবছে বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেটা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারি। আমি বলি, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। আমি বলি-যতদিন বাঁচব, মানুষের সেবা করে যাব। মানুষকে ন্যায়বিচার দিয়ে যাব। যার জন্য আমি ফাঁসির দাবি করেছিলাম, পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম’। 
আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন নিরপেক্ষ তদন্তের। রোববারের মধ্যে তদন্তে অগ্রগতি না হলে, সিবিআই’র হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তবে তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবারই সিবিআই’র হাতে আরজিকর কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।

মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘বলুন, কোন অ্যাকশনটা আমরা নিইনি? ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ১৬৪ জনকে কাজে লাগিয়েছিল। একমাসের সিসি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দেওয়া হল। রোববারের মধ্যে মামলার কিনারা হোক। আমরা ফাঁসি চাই।’

কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী শিবিরে? বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘রাজ্যে যদি একটা ঘটনা ঘটত, তাহলে দুর্ঘটনাবশত ঘটে গিয়েছে এটা বোঝা যেত। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী, তার রাজ্যতে সবচেয়ে বেশি নারী অপমানের শিকার হচ্ছেন। এত নারীর অপমান হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রে উনি বলে দিচ্ছেন, ওই নারীর  চরিত্র খারাপ ছিল। ওই মহিলার দোষ ছিল। একটা কেস কেউ বলতে পারবে, যেখানে উনি নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন । প্রত্যেকবার ধর্ষণকারী কিংবা খুনি তার পাশে উনি দাঁড়িয়েছেন। এটাই দুর্ভাগ্য।’