শেখ হাসিনা-আনিসুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি আখ্যা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফাঁসি ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (আগস্ট) পৌরশহরের মুক্তমঞ্চে সকাল ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১০টার আগেই আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে সমাবেশ করেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনা ও তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফাঁসি ও তার দোসরদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের এ অবৈধ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশের বহু নিরীহ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। তার সময়ে আমরা কসবা-আখাউড়ায় কোনো মিটিং-মিছিল করতে পারিনি। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করেছে। এ অবৈধ মন্ত্রীর কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। আজকে এই আনিসুল হক গ্রেপ্তার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা স্বৈরাচার সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার অবৈধ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের শাস্তি দাবি ও ফাঁসি চাই।
এ সময় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসলেম উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. কাজী হাম্মাদুল ওয়াদুদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রউফ চৌধুরী, মো. রমজান হোসেন, যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম রানা, মো. আলমগীর হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।