০৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ: মিথিলা

Spread the love

বন্যার এই সময়টাতে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ বলে জানান এপার-ওপার— দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
অসহায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো করার চেষ্টা করছি। যখনই বন্যা হয়, চেষ্টা করি কিছু করতে। এবারও করছি। যতটুকু পারছি, করছি। এখানেও দলমত-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এমনটিই হওয়া উচিত।
মিথিলা অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাজলরেখা’। কংকন দাসি চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এর আগে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। এ সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। যদিও আপাতত নতুন কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন না এ অভিনেত্রী। বিরতিতে আছেন তিনি।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে রাজপথে দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে মিথিলা বলেন, আমার শিক্ষা হচ্ছে—অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা। আমি দেখেছি অন্যায় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেছি। আমার মনে হয়, সবারই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা উচিত। তাহলেই ভালো কিছু হবে। তিনি বলেন, মূল আন্দোলনটা করেছেন শিক্ষার্থীরাই। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা পাওয়ার কৃতিত্ব তাদের। আমরা সমর্থন করেছি। চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার।
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছিলেন। এটাই হওয়া উচিত। যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশটা সুন্দর হবে।’
মিথিলা বলেন, যখন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়, তখন আমাদের সংহতি জানানো দরকার। যার পরিবারের সদস্য মারা গেছেন, তারাই অনুভব করছেন কতটা কষ্ট হচ্ছে, কত কী হারিয়েছেন। তাদের এই বেদনা সারাজীবন থেকে যাবে। এসব হত্যা যখন দেখেছি, মানবিক বিবেচনা থেকেই সোচ্চার হয়েছি।
এখনকার চাওয়া কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যাশা হচ্ছে— অন্যায় যেন না হয়। বিনাকারণে মানুষ যেন আর মারা না যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। সাম্যের দেশ হোক। সবাই যেন সমান অধিকার পাই।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেন, বন্যার এই সময়টাতেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ। বাংলাদেশটা সাম্যের হোক।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৮:৩১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
৩ টাইম ভিউ

সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ: মিথিলা

আপডেটের সময় : ০৮:৩১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

বন্যার এই সময়টাতে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ বলে জানান এপার-ওপার— দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
অসহায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো করার চেষ্টা করছি। যখনই বন্যা হয়, চেষ্টা করি কিছু করতে। এবারও করছি। যতটুকু পারছি, করছি। এখানেও দলমত-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এমনটিই হওয়া উচিত।
মিথিলা অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাজলরেখা’। কংকন দাসি চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এর আগে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। এ সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। যদিও আপাতত নতুন কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন না এ অভিনেত্রী। বিরতিতে আছেন তিনি।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে রাজপথে দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে মিথিলা বলেন, আমার শিক্ষা হচ্ছে—অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা। আমি দেখেছি অন্যায় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেছি। আমার মনে হয়, সবারই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা উচিত। তাহলেই ভালো কিছু হবে। তিনি বলেন, মূল আন্দোলনটা করেছেন শিক্ষার্থীরাই। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা পাওয়ার কৃতিত্ব তাদের। আমরা সমর্থন করেছি। চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার।
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছিলেন। এটাই হওয়া উচিত। যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশটা সুন্দর হবে।’
মিথিলা বলেন, যখন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়, তখন আমাদের সংহতি জানানো দরকার। যার পরিবারের সদস্য মারা গেছেন, তারাই অনুভব করছেন কতটা কষ্ট হচ্ছে, কত কী হারিয়েছেন। তাদের এই বেদনা সারাজীবন থেকে যাবে। এসব হত্যা যখন দেখেছি, মানবিক বিবেচনা থেকেই সোচ্চার হয়েছি।
এখনকার চাওয়া কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যাশা হচ্ছে— অন্যায় যেন না হয়। বিনাকারণে মানুষ যেন আর মারা না যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। সাম্যের দেশ হোক। সবাই যেন সমান অধিকার পাই।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেন, বন্যার এই সময়টাতেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন— এটাই আমার বাংলাদেশ। বাংলাদেশটা সাম্যের হোক।