১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক তিন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা

Spread the love

আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করা হয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ৭ বিচারপতির বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে অসাংবিধানিকভাবে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ লংঘন করে কোনো শুনানির সুযোগ না দিয়ে আদালত অবমাননার নামে মো. ইউনুস আলী আকন্দকে শাস্তি দেন। প্রথমে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সুযোগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। তারপর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিন মাস প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ জরিমানা করা হয়।

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী বলেন, আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ এর ৭ ধারায় আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইব্যুনাল প্রমাণিত হলে পেশা সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু আপিল দ্বারা নয়।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৪, ১০৮ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগে সরাসরি মামলা করা যায় না। হাইকোর্টের আদালত অবমাননা রায়ের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ১০৩ (২) (গ) অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল হয়। সংবিধান ১০৪ অনুচ্ছেদে বিচারাধীন আপিলে সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের জন্য যেরুপ প্রয়োজন সেইরুপ আদেশ দিতে পারবে, কিন্তু সরাসরি কোনো মামলায় নয়। সরাসরি আপিল বিভাগে আপিল হয়। উক্ত বিচারাপতিগণ ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে শপথ ভঙ্গ করে আমাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তবর্তী আদেশ দিয়ে প্রাকটিস ডিবার্ড করে, যা সংবিধান ১১ অনুচ্ছেদে মানবাধিকার লংঘন। আপিল বিভাগে ওই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার খর্ব করে।

এ মামলার অন্য চার বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৩:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
১৯ টাইম ভিউ

সাবেক তিন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটের সময় : ০৩:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
Spread the love

আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করা হয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ৭ বিচারপতির বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে অসাংবিধানিকভাবে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ লংঘন করে কোনো শুনানির সুযোগ না দিয়ে আদালত অবমাননার নামে মো. ইউনুস আলী আকন্দকে শাস্তি দেন। প্রথমে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সুযোগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। তারপর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিন মাস প্রাকটিস সাসপেন্ডসহ জরিমানা করা হয়।

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী বলেন, আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ এর ৭ ধারায় আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইব্যুনাল প্রমাণিত হলে পেশা সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু আপিল দ্বারা নয়।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৪, ১০৮ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগে সরাসরি মামলা করা যায় না। হাইকোর্টের আদালত অবমাননা রায়ের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ১০৩ (২) (গ) অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল হয়। সংবিধান ১০৪ অনুচ্ছেদে বিচারাধীন আপিলে সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের জন্য যেরুপ প্রয়োজন সেইরুপ আদেশ দিতে পারবে, কিন্তু সরাসরি কোনো মামলায় নয়। সরাসরি আপিল বিভাগে আপিল হয়। উক্ত বিচারাপতিগণ ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে শপথ ভঙ্গ করে আমাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তবর্তী আদেশ দিয়ে প্রাকটিস ডিবার্ড করে, যা সংবিধান ১১ অনুচ্ছেদে মানবাধিকার লংঘন। আপিল বিভাগে ওই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার খর্ব করে।

এ মামলার অন্য চার বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।