০৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসিফ মাহমুদ বল্লেন বেকার ছিলাম, দায়িত্ব শেষে আবার বেকার হয়ে যাবো

Spread the love


বেকারত্বকে দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি- ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা একজনকে ছেড়ে না দেই। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেবো, কোন কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন, সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো অনেক পদ খালি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবো। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।

দেশে ২৬ লাখের বেশি গ্রাজ্যুয়েট বেকারসহ সব মিলিয়ে এক কোটি ৮০ লাখ বেকার আছেন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেকারত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমরা একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেবো বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে তাদেরও একটা অগ্রাধিকারের জায়গা বেকারত্ব। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অ্যাড্রেস করবো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে
আপডেটের সময় : ০৮:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
১০ টাইম ভিউ

আসিফ মাহমুদ বল্লেন বেকার ছিলাম, দায়িত্ব শেষে আবার বেকার হয়ে যাবো

আপডেটের সময় : ০৮:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
Spread the love


বেকারত্বকে দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি- ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা একজনকে ছেড়ে না দেই। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেবো, কোন কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন, সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো অনেক পদ খালি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবো। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।

দেশে ২৬ লাখের বেশি গ্রাজ্যুয়েট বেকারসহ সব মিলিয়ে এক কোটি ৮০ লাখ বেকার আছেন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বেকারত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমরা একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেবো বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে তাদেরও একটা অগ্রাধিকারের জায়গা বেকারত্ব। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অ্যাড্রেস করবো।